আলু ২-সেমি কিউব করে কেটে নিন।
ছোলার বা মটর ডাল বেটে নিন, এবং তার মধ্যে অল্প লবণ ও লঙ্কা ও আদা বাটা মিশিয়ে নিয়ে আলাদা রাখুন।
কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে দিন।
তেল ভালো করে গরম হতে দিন এবং ফ্যাকাশে হলুদ রং ধরলে ছোলার ডাল বা মটরের ডালের ছোট ছোট বড়া ভেজে তুলে রাখুন।
চিংড়ি ব্যবহার করলে এক চিমটি লবণ ও হলুদ দিয়ে প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো মাখিয়ে নিন।
তারপর চিংড়ি মাছ গুলি যোগ করুন এবং মাঝারি আঁচে ১ মিনিটের জন্য ভাজুন।
চিংড়ি মাছ গুলো একপাশে রেখে দিন।
এরপর সেই তেলেই শুকনো লাল লঙ্কা, তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ এবং জিরা দিয়ে দিন।
তারপর আলু দিয়ে দিন।
সোনালি হওয়া পর্যন্ত ৪ মিনিটের মত ভাজুন।
তারপর দিয়ে দিন ভিজিয়ে রাখা কাঁচা ছোলা।
তারপর গ্রেট করা নারকেল (নারকেল কোরা) যোগ করুন এবং ভালো করে ভাজতে থাকুন।
খেয়াল রাখবেন নারকেল যেন পুড়ে না যায়।
এবার একটি ছোট পাত্রে আদা বাটা, জিরা গুঁড়া, হলুদ, লাল লঙ্কা গুঁড়া জল দিয়ে মেশান।
কড়াইতে এই মশলার মিশ্রণ যোগ করুন।
তারপর স্বাদ ও পরিমাপ মত লবণ এবং চিনি যোগ করুন।
সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে খানিক্ষণ নাড়ুন।
২ টি কাটা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন।
কাঁচা গন্ধ চলে না যাওয়া পর্যন্ত মশলা ভাজতে থাকুন।
দরকার পড়লে উচ্চ আঁচে মশলা কষতে থাকুন।
মশলা শুকিয়ে গেলে এক ফোটা জল যোগ করুন।
মশলা তে অল্প জল দেওয়ার পড় দিয় ৩ মিনিট রান্না করুন।
সেদ্ধ এবং ছাঁকানো মোচা যোগ করুন। ভালভাবে মেশান।
এরপর কড়াই ঢেকে কম আঁচে ৬ মিনিট রান্না করুন।
আরও ২টি চেরা কাঁচা লঙ্কা যোগ করুন।
ঢাকা খুলে সব কিছু ভালো করে নাড়তে থাকুন।
ডালের বড়া যোগ করার পর মাত্র ৩-৪ মিনিট রান্না করুন।
খুব তাড়াতাড়ি এগুলি যোগ করেন তবে বড়ি নরম হয়ে যাবে এবং ভেঙে যাবে; খুব দেরিতে দিলে, এগুলি শুকনো থাকবে এবং মশলা শোষণ করবে না।
তাই সমস্ত মোচা শুকনো হয়ে ভাজা ভাজা হয়ে যাওয়ার আগেই এই বড়ি গুলো দিয়ে দিন।
এরপর মোচাতে ভাজা চিংড়ি যোগ করুন এবং আলতো করে সবকিছু মিশ্রিত করুন।
যদি মোচাটি খুব শুকনো দেখায় তবে আপনি ২ টেবিল চামচ দুধ যোগ করতে পারেন।
কম আঁচে ৩ মিনিট রান্না করতে থাকুন।
ঘি এবং গরম মশলা দিয়ে দিন সর্বশেষে।
সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
ভাত ও ডালের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।