Skip to content

টাকি, হাসনাবাদ – কি কি দেখবেন, কোথায় থাকবেন, পিকনিক স্পট

টাকি একটি ছোট্ট শহর উত্তর চব্বিশ পরগনাতে, হাসনাবাদ পুলিশ স্টেশনের বসিরহাট সাব ডিভিশন, ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত।

সপ্তাহের শেষে ছুটি কাটানোর জন্য একটি সুন্দর জায়গা কলকাতার নিকটে হলো টাকি।

যদি আপনি এমন কোন জায়গা খুঁজছেন যেখানে সম্ভবত বিশেষ কেউ যায়না বা বিশেষ কেউ চেনেনা এবং নিরিবিলিতে আপনারা একান্ত একটু সময় কাটাতে চান তবে তাকি সব থেকে বিশেষ জায়গা হবে আপনার জন্য।

এই আর্টিকেলেটিতে আপনি জানতে পারবেন টাকি তে আমার একটি ছোট্ট টুর। আমার আর্টিকেল এ এই জায়গায় ব্যাপারে সমস্ত তথ্য দেওয়া রইল।

টাকির অবস্থান

টাকি অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে ইছামতি নদীর তীরে। এই জায়গাটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে পড়ে।

কলকাতা থেকে টাকির দূরত্ব

টাকির দূরত্ব কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার। টাকি বাস ও গাড়ি তে পৌঁছাতে পারেন।

টাকি কি ভাবে পৌঁছাবেন

গাড়িতে করে

আপনি যদি আপনার যাত্রা দক্ষিণ কলকাতা বা মধ্য কলকাতা থেকে শুরু করেন তাহলে আপনি কলকাতা মালঞ্চ রোড টি নিতে পারেন সাইনসিটি থেকে এবং তারপর নিতে পারেন মালঞ্চ বসিরহাট হাইওয়ে।

তাকি পৌঁছানোর আরেকটি রুট হচ্ছে বারাসাত চাপাডালি হয়ে। আপনি বারাসাত থেকে টাকি রোড ধরতে পারেন পারবেন এবং টাকি পৌঁছতে পারবেন বেরাচাম্পা এবং বসিরহাট হয়ে।

আমরা যেহেতু যাত্রা দমদম কলকাতা থেকে শুরু করেছিলাম তাই আমরা এই রুটটি নিয়েছিলাম।

ট্রেনে করে

আপনি যদি টাকি যেতে চান ট্রেনে তাহলে আপনাকে শিয়ালদা রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ট্রেন ধরতে হবে এবং আপনাকে টাকি রেলওয়ে ষ্টেশনে নেমে যেতে হবে।

আপনি সেখান থেকে টোটো নিয়ে হোটেলে পৌঁছাতে পারেন।

বাসে করে

টাকি যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে প্রচুর বাস পাওয়া যায়। আপনি যে কোন একটা বাস নেবেন যেটি এসপ্ল্যানেড বা শ্যামবাজার থেকে বারাসাত হয়ে যায়।

বাসের 2-3 ঘন্টা লাগতে পারে। আমার মতে আপনি যদি কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ টাকি পৌঁছাতে চান তাহলে ট্রেনের দ্বারা যাত্রা সবথেকে ভালো হবে।

আমার টাকি ট্যুর শুরু হয়েছিল শনিবার সকালে দশটার সময়। কলকাতা থেকে এবং আমরা ১:৩০ সময় তাকি পৌঁছে ছিলাম।

গাড়িতে যেতে মোটামুটি তিন ঘন্টা লেগেছিল এবং কিছুটা ট্রাফিক ছোটখাটো ব্রেক নিয়েই সাড়ে তিন ঘন্টার মতো লেগে ছিল।

টাকিতে ঘোরার জায়গা

টাকি তে বহু সুন্দর জায়গা আছে যা আপনি ঘুরতে পারবেন। কিছু জায়গার নাম আমি নিচে দিয়ে দিলাম।

ইছামতি নদী

টাকির সবথেকে প্রধান সৌন্দর্য বা দেখার জায়গা হল ইচ্ছামতী নদী। ইছামতি নদীতে নৌকায় চেপে প্রকৃতি দেখা কোন কারনে যেন বাদ না পড়ে।

ভারত বাংলাদেশ বর্ডার এই নদীর মাঝখান দিয়ে চলে যাচ্ছে।

আপনি দেখতে পাবেন ইছামতি নদীর উপরে অনেক ছোট নৌকা ভাসছে যেখানে ভারতের পতাকা লাগানো আছে এবং নদীর অপরদিকে নৌকা দেখতে পাবেন যেখানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা আছে।

এখানে নৌকা চড়ে ঘুরলে ৪০ টাকা লাগবে। আপনাকে কুড়ি জনের সাথে নৌকাভ্রমন ভাগ করে নিতে হবে।

আপনি একটি ছোট নৌকা ভাড়া করতে পারেন যদি আপনারা কয়েকজনের গ্রুপ বা আপনি একলা , বা আপনারা কাপল হিসেবে যেতে চান তাহলে। সেগুলি একান্তই আপনাদের ব্যাপার।

নৌকায় চাপলেই আপনাকে নদীর মধ্যে নিয়ে যাওয়া হবে কিন্তু আপনাকে ভারতীয় সাইডে রাখা হবে।

আপনি অন্যান্য বাংলাদেশি জাহাজ দেখতে পাবেন যেখানে তাদের ট্যুরিস্টরা নদীর মাঝ ভাগে আসবে এবং আপনাদের দিকে হাত নাড়বে।

গোলপাতা জঙ্গল, টাকি

গোলপাতা জঙ্গল ছোট্ট মিনি সুন্দরবন বলে ডাকা হয়ে থাকে।

আপনারা তাকির যেকোনো হোটেল থেকেই একটি ভ্যান রিক্সা নেবেন নিয়ে আপনি গোলপাতা জঙ্গলে ঘুরে আসতে পারেন।

গোলপাতা জঙ্গল জনপ্রিয় বড় বড় গাছের ছাউনির জন্য যার মধ্যে দিয়ে সূর্যের রশ্মি উঁকি দেয়। জনপ্রিয় মিনি সুন্দরবনের মত ঘন জঙ্গল পথ এই জঙ্গল।

জঙ্গল পথ দিয়ে যেতে যেতে আপনি তাকি নদীর তীরে পৌছে যাবেন যেখানে আপনি ওপার বাংলার মাঠ, জমি অনেক কাছ থেকেই দেখতে পাবেন।

তবে একটি জিনিস সর্বদা মনে রাখবেন আপনি যখন এই স্থানে ঘুরতে আসবেন তখন একটি ফটো আইডি প্রুফ আপনার সাথে আনবেন এবং আপনার গ্রুপে যারা যারা আছে তাদেরকে ফটো আইডি আনার জন্য বলবেন।

কারণ এই জায়গায় প্রবেশ করার জন্য আপনাকে বিএসএফ এর আইডি প্রুফ চাইতে পারে।

কুলেশ্বরী কালী মন্দির

টাকির কুলেশ্বরী কালী মন্দির

কুলেশ্বরী কালীমন্দির একটি ভীষণ জনপ্রিয় মহাকালির মন্দির।

টাকিতে অবস্থিত এই মন্দিরের দেবী কালী ভীষণ জাগ্রত এবং ভক্তগণের সমস্ত আশা পূর্ণ করেন।

আপনি এখানে এলে এক শক্তির আধার খুঁজে পাবেন।

রায়চৌধুরী জমিদার বাড়ি, টাকি

টাকির রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি

রায়চৌধুরীর জমিদারবাড়ি পুরনো আর্মি জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী পৈতৃক ভিটে। এই জমিদার বাড়ি ঘিরে আছে অনেক মন্দির এবং নাট্যমঞ্চ। যদিও এখন সেই জায়গাগুলি কোন কোনটাই অক্ষত অবস্থায় নেই।

এই জায়গায় প্রথম জমিদার ছিল জমিদার রায় চৌধুরীরা। জমিদার ও জমিদারির অনেক পুরনো ইতিহাস এই জায়গার এলে আপনি জানতে পারবেন এবং তাকিতে একটি বিশেষ জায়গা ভ্রমণ করার মত।

এর আগে যদি আপনি কোন জমিদার বাড়ি না গিয়ে থাকেন তাহলে এখানে এসে আপনি জমিদারবাড়ি দেখতে পারেন এবং জমিদার বাড়ির ফটো ফ্রেম বন্দী ও করতে পারবেন।

জোড়া মন্দির, টাকি

টাকি জোড়ামন্দির

টাকিতে অবস্থিত জোড়া মন্দির প্রায় তিনশ বছর পুরনো যার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য আছে।

মন্দিরের সামনে একটি ছোট্ট পুকুর আছে। আপনি একটি টোটো করে জোড়া মন্দিরে ঘুরে আসতে পারেন।

মাছরাঙ্গা দ্বীপপুঞ্জ আরেকটি সুন্দর জায়গা টাকিতে। কিন্তু এই কয়েক বছরে সাইক্লোন আম্ফান এই দ্বীপের সমস্ত বাসস্থান ও গাছ উপড়ে ফেলে দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে এবং দ্বীপটি এখন জলের তলায় নিমজ্জিত।

টাকির জনপ্রিয়তা

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না তাকিতে একটি বিখ্যাত জায়গা শুটিং স্পর্ট এর জন্য। এখানে বহু জায়গা আছে যা শুটিং স্পট হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং বহু পুরনো দিনের সিনেমা ক্লিপিংস এই জায়গায় নেওয়া হয়েছে।

আপনারা অনেকেই হয়তো বিসর্জন সিনেমাটির কথা শুনে থাকবেন এই সিনেমাটি এই স্থানে শুটিং করা হয়েছিল। আপনারা চাইলে এইসব স্থানে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন

টাকি পিকনিক স্পট

টাকি পিকনিক স্পট ইছামতি নদীর পাড়ে অবস্থিত যেখান থেকে আপনি বাংলাদেশের মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবেন তাই কলকাতার কাছাকাছি টাকি একটি জনপ্রিয় বনভোজন করার জায়গা।

সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিশেষ করে দক্ষিণ বঙ্গীয় মানুষ এই পিকনিক স্পট গুলিতে বেড়াতে যান শীতের সময়।

আপনারা যদি তার কোন চড়ুইভাতির জায়গা বুক করতে চান আপনি সেখানকার কোন স্থানীয় মানুষদের দ্বারা তা বুক করতে পারেন।

কেউ কেউ অনলাইন বুকিং এর সুবিধা করে দিয়েছে যাতে পরে আপনি দূরে বসেই মোবাইলের দ্বারা টাকির পিকনিক স্পট বুক করতে পারেন।

টাকি সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখলেই মন ভরে যাবে তাই অবশ্যই একবার টাকিতে চড়ুইভাতি করে আসুন আপনার বন্ধু-বান্ধব বা আপনার পরিবারকে নিয়ে।

দুর্গা পূজা

বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ পুজা দুর্গা পূজা ,শুধু বাংলাতেই নয় সমস্ত পৃথিবীতে অনেক অঞ্চলে হয়ে থাকে। তবে টাকি একটি জনপ্রিয় জায়গা যেখানে আপনি মায়ের বিসর্জনের অভিনব অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পারবেন।

যেদিনকে মায়ের বিসর্জন হয় সেদিন ভারত ও বাংলাদেশের বহু মানুষ ইছামতি নদীর তীরে বেড়াতে আসে তাদের নিজস্ব দিক থেকে, সেই নদীর তীরে মায়ের ভাসান দেখবে বলে।

মায়ের ভাসান দেখার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের এমন সমন্বয় দেখলে মন ভরে যায়।

টাকি ঘুরতে যাবার শ্রেষ্ঠ সময়

টাকি বেড়াতে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে শীতকাল কারণ তখন আকাশ স্বচ্ছ থাকে এবং চারপাশের পরিবেশ এত সুন্দর থাকে যাতে করে আপনি নদীর ধারে একটি চড়ুইভাতি করতে পারেন।

শুনলে অবাক হবেন এই জায়গাতে শীত কালে পাটালি গুড় বিখ্যাত এবং খেতেও সুস্বাদু।

কিন্তু আপনি যখন সময় পাবেন তখনই তাকি একবার অবশ্যই ঘুরে আসবেন তার অপরূপ দৃশ্য অনুভব করার জন্য।

দুর্গাপুজো একটি ভীষণ ভালো সময় তাকি ঘুরতে যাবার জন্য। কারণ তখনই আপনি মা দুর্গার বিভিন্ন বিগ্রহ ভাসান হতে দেখতে পারবেন। আর শুধু আপনার দেশেরই নয় অপর দেশের মা দুর্গা দর্শন ও হয়ে যাবে।

টাকিতে গেলে কোথায় থাকবেন

আপনি টাকিতে গেলে সেখানে অনেক গেস্ট হাউজ এবং হোটেলে থাকতে পারেন এবং রাত কাটাতে পারেন ইছামতি নদীর তীরে হোটেলগুলোতে।

আপনি হোটেলের ব্যালকনিতে বসে কাটিয়ে দিতে পারেন বিকেলটি এবং ঠাণ্ডা বাতাস উপভোগ করতে পারেন।

MakeMyTrip এবং Yatra এসব ওয়েবসাইটে টাকির হোটেল বুকিং হয়।

এছাড়া অন্যান্য গেস্ট হাউস আছে যেমন নৃপেন্দ্র অতিথিশালা যা টাকির মুনিসিপাল গেস্ট হাউস নামে জানা গেছে।

টাকি তে গিয়ে কি খাবেন

টাকিতে বয়ে চলেছে ইচ্ছামতির নদী যেখানে আপনি রোজ একদম খাঁটি মিঠাপানির মাছ খেতে পারবেন।

অনেক জায়গাতেই স্থানীয় মাছের বাজার আছে যেখানে আপনি যেতে পারবেন এবং সদ্য জালে ধরা মাছ কিনে এনে নানান মাছের রান্না করতে পারবেন।

এছাড়াও মালপোয়া এখানকার বিখ্যাত একটি মিষ্টান্ন। বাঙালি জায়গাতে আপনি অন্যান্য বাঙালি খাবারও খেতে পারবেন।

আমাদের টাকিতে দুদিনের যাত্রা

প্রথম দিন: আগেই আমি বলেছিলাম টাকির উদ্দেশ্যে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম শনিবার সকালে এবং দেড়টার সময় পৌঁছেছিলাম সেখানে গিয়ে।

আমরা একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেলাম দিয়ে একটি হোটেলে উঠলাম।

কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পরে আমরা ইছামতি নদীর তীরে ঘোরার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলাম।

বিকেলটি একটি ভীষণ সুন্দর সময় ইছামতি নদীর ছোট নৌকায় ঘোরার জন্য। নৌকায় চেপে আমরা নদীর মধ্য ভাগে গেলাম।

সেখানে গিয়েই একটি উদ্দীপনা আমাদের মধ্যে কাজ করতে লাগলো কারণ আমরা ভারত বাংলাদেশ বর্ডার এর অনেক নিকটে চলে এসেছিলাম তাও আবার ছোট নৌকায় করে।

প্রথমবার বাংলাদেশের সুদূর মাঠ, ঘাট দৃশ্য দেখে সত্যি আনন্দ পেয়েছিলাম।

ছোট নৌকায় চাপার পরেই আমরা নদীতীরে কিছুক্ষণ বসে রইলাম এবং সূর্য অস্ত যেতে দেখলাম যা ছিল একটি দর্শনীয় রূপ।

ইছামতি নদীতে সূর্যোদয়

দ্বিতীয় দিন: আমরা সকালের জলখাবার এর পরেই বেরিয়ে পড়লাম স্থানীয় একটি মাছের বাজারে। সারি সারি মাছ বিক্রি হচ্ছে সেই বাজারে যা আমি আগে কখনই দেখিনি।

অনেক জানা এবং অনেক নাম না জানা মাছ এখানে পাওয়া যাচ্ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মাছগুলি সদ্য তোলা হয়েছে নদী থেকে। এক-একটি গলদা চিংড়ি বিশাল আকারের ছিল।

তারপর সে সব দেখে দেখেই আমরা একটি টোটো নিয়ে অন্যান্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় জায়গা গুলো দেখতে বেরিয়ে পড়লাম।

প্রথমে আমরা গেলাম গোলপাতা জঙ্গলে সেখানে কিছুক্ষণ হাঁটার পরেই বুঝতে পারলাম এ জঙ্গলটি একটি মিনি সুন্দরবন যেখানে বড় বড় গাছের সারি তলায় হাঁটতে-হাঁটতে হারিয়ে যাওয়া যায় এবং আমরা আবার টোটো নিয়ে বাকি কুলেশ্বরী মন্দির, রায় চৌধুরি জমিদার বাড়ি এবং জোড়া মন্দির ঘুরে আসলাম।

এছাড়াও আরো অনেক জায়গা আছে টাকিতে যেখানে শুটিং হয়েছে। সেই জায়গাগুলো তেও আপনি ঘুরতে পারেন।

টাকি ভ্রমণ আমার জীবনে ছোট ভ্রমণের মধ্যে সবথেকে সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে কারণ কলকাতার কাছাকাছি এমন একটি সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ সত্যিই অতুলনীয়।

আপনি যদি কখনো টাকি না ঘুরে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে কোন একদিন চটপট বেরিয়ে আসুন ইছামতি নদীর স্থান অর্থাৎ টাকিতে।