পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা একাধিক জিনিসের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। ইতিহাস, মানুষ, সংস্কৃতি, সাহিত্য এবং খাবারের বৈচিত্র্যর কারণে এই শহরের প্রতি বারংবার প্রেমে পড়ে যাবেন।
এমনকি “বিশ্বের সেরা খাদ্য গন্তব্য”, বিশ্বের সেরা দুর্গা প্রতিমা এর মতো অনেক জনপ্রিয় তালিকায় এর নাম সম্প্রতি উঠে এসেছে। কলকাতার দুর্গাপূজাও “UNESCO কালচারাল হেরিটেজ অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছে। এগুলোর মতো আরও অনেক জিনিস রয়েছে যার জন্য কলকাতা বেশ বিখ্যাত।
এই নিবন্ধে, আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানতে পারবেন যেগুলির জন্য কলকাতা বিখ্যাত,
- স্ট্রিট ফুড
- দূর্গা পূজা
- কলকাতার বিরিয়ানি
- ট্রাম
- হাওড়া ব্রিজ
- হাতে টানা রিকশা
- বাঙালি মিষ্টি
- ইডেন গার্ডেন
- স্মৃতিস্তম্ভ
- ফুটবল
তাহলে চলুন এই প্রতিটি বিষয় বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক।
যে যে জিনিসের জন্য কলকাতা বিখ্যাত
১. স্ট্রিট ফুড
রাস্তার খাবারের বা স্ট্রিট ফুডের কথা আলোচনা করা ও কলকাতাকে সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা একদমই মার্জনীয় নয়। এই শহরটি তার সুস্বাদু অথচ সস্তা রাস্তার খাবারের জন্য বেশ বিখ্যাত। রাস্তার ধারে অসংখ্য স্টল এবং দোকান রয়েছে যা রাজ্যের সেরা স্ট্রীট ফুড বিক্রি করে।
স্ট্রীট ফুডের রাজা বলতে গেলে এক কথায় বলতে পারি ” ফুচকা” যার স্থান চিরকালই শীর্ষে এবং এই খাবারের সাথে কলকাতা বাসীর প্রেম অনন্ত যুগ ধরে ছিল ও থাকবে। এছাড়া কাঠি রোল এখানে নিতান্তই জনপ্রিয়। আপনার খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের কাঠি রোল পাওয়া যায়, যেমন চিকেন রোল, পনির রোল, ডাবল এগ রোল ইত্যাদি এখানে পাওয়া যায়। আপনি শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই সুস্বাদু খাবার পাবেন, এবং প্রতিটি অনন্য স্বাদে ভরপুর।
অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে ব্রেড অমলেট, ঝাল মুড়ি, পাপড়ি চাট, ঘুগনি চাট, পাউ ভাজী, স্যান্ডউইচ এবং তালিকাটি লিখে শেষ করা যাবেনা। শহর জুড়ে সকালের খাবারের বিখ্যাত কচুরি, ছোলার ডাল বা আলুরদমের স্বাদ অতুলনীয়।
চাউমিন, মোমো, এবং ভেজ মাঞ্চুরিয়ান সল্টলেক এলাকার একটি বিশেষত্ব। বড় বাজারের কাছে, কিমার দই বড়া অবশ্যই খেয়ে দেখতে পারেন।
এছাড়াও দেকার্স লেনে পাবেন বিখ্যাত ফিশ ফ্রাই, টোস্ট, ও চিকেন স্টু। তেলে ভাজার দোকানের অন্ত নেই বললেই চলে। না বললেই নয়, এই মহানগরীর রাস্তায় বিক্রি হওয়া খাবারের মাধ্যমে বাংলার স্বাদ প্রতিফলিত হয়।
২. দুর্গাপূজা
দুর্গাপূজার বার্ষিক উৎসব সারা বিশ্বের সমস্ত বাঙালি পরিবারের জন্য সুখ এবং আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে।
এটি অনেক উৎসাহ , আনন্দ এবং ভক্তির সাথে পালিত সবচেয়ে বড় উৎসব। কলকাতার দুর্গাপূজা খুবই উল্লেখযোগ্য কারণ উৎযাপনের বিশাল আয়োজন ও আকৃতি সত্যি বিশ্বব্যাপী ও ভিন্ন । উদযাপনটি প্রায় দশ দিন ধরে চলতে থাকে এবং সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর (শরৎ) মাসে দেবী দুর্গার মর্তে আগমন চিহ্নিত করে।
বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেল দিয়ে পুরো শহর সেজে ওঠে। আলো, মেলা, ভিন্ন মানুষের ভিড়, খাওয়া দাওয়া, পুজোর গন্ধ, ঢাকের আওয়াজ কলকাতার রং ও রূপ খুলে দেয় বহু গুণ। প্রতি বছর দেবীর ভাস্কর্য সহ প্রতিটি প্যান্ডেলের থিম অনন্য। এছাড়াও ‘বনেদি বাড়ি দুর্গা পূজা’ দেখে আপনিও বিস্মিত হবেন।
‘কলকাতায় দুর্গাপূজা’ UNESCO-র অনেক খেতাব অর্জন করেছে।
দূর্গা পূজার সময় অবশ্যই একবার কলকাতায় ঘুরে যান এবং এই শারদীয়া উৎসবের এক ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন!
৩. কলকাতা বিরিয়ানি
কলকাতা বিরিয়ানির ইতিহাস ১৮৫৬ সালের থেকে। এটির উৎস হয়েছিল যখন আওয়াধের শেষ নবাবকে নির্বাসিত করে কলকাতার শহরতলিতে পাঠানো হয়েছিল।
এই বিরিয়ানি লখনউ-স্টাইলের বিরিয়ানির মতো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাংসের দাম বেশি হওয়ায় এটি নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি এতে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে আলু দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছিলেন।
আলু দিয়ে বিরিয়ানি তৈরি হয় শুরু হলো এবং তা কলকাতার বিরিয়ানি হয়ে গেল।
অল্প আঁচে রান্না করা সুগন্ধি চাল, মাংস, ডিম, আলু এবং সুগন্ধি মশলা সহ রন্ধন করা বিরিয়ানি সত্যি এক অসাধারণ পদ। শহরে থাকাকালীন এই বিশেষ বাঙালি খাবার অবশ্যই ভোজন করুন।
৪. ট্রাম
ট্রাম ব্যবস্থাটি ১৮৭৩ সালে ঘোড়ায় টানা ট্রামের আকারে চালু করা হয়েছিল। এটি এখন কলকাতার এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।
১৯০২ সালে, এশিয়ার প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম কলকাতায় চলে। পরে, সমস্ত শহর জুড়ে বেশ কয়েকটি রুট এবং সংযোগ তৈরি করা হয়েছিল এবং পেরিয়ে যাওয়ার দশকগুলির সাথে ট্রামের ইতিহাস বিকশিত হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে, আমরা এখনও কলকাতার রাস্তায় ট্রামগুলিকে যাত্রী বহন করতে দেখি। ট্রামে চরার অভিজ্ঞতাটি সুন্দর, এবং আমরা অনুভব করতে পারি যে পূর্বে সময়গুলি কেমন ছিল এবং সেই সময়কালে সমস্ত মানুষজন কীভাবে ভ্রমণ করতেন।
ভিতরে, ধাতব-কাঠের বেঞ্চগুলি এখনও আপনাকে বসার এবং আপনার গন্তব্যে ও যাত্রা উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে। এটা অবিশ্বাস্য, এবং ভাড়া জনপ্রতি প্রায় ৫-১০ টাকার মতো সস্তা। আপনি যদি কলকাতার পুরনো ঐতিহ্য দেখতে চান তাহলে এই ট্রাম দেখার সুবর্ণ সুযোগ মিস করবেন না।
৫. হাওড়া ব্রিজ
১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে নির্মিত, এটি হুগলি নদীর উপর একটি ঝুলন্ত সেতু যা কলকাতা এবং হাওড়া শহরগুলিকে সংযুক্ত করে। বহু কাল ধরেই কলকাতার একটি মস্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে হাওড়া ব্রিজ।
এটি ষষ্ঠ দীর্ঘতম এবং ব্যস্ততম ক্যান্টিলিভার সেতু। দৈনিক, যানবাহন ট্রাফিক প্রায় ১,০০,০০০ এবং পথচারী ট্র্যাফিক ১,৫০,০০০ এর বেশি।
এটি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং এখনও এটি স-গৌরব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সন্ধ্যার সময় ব্রিজটিতে আলোর কারণে দৃষ্টিনন্দন দেখায়।
ব্রিজের নীচে নদীতে অনেক ফেরি চলাচল করে এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত সময়ে সেতুর অত্যাশ্চর্য দৃশ্য আপনাকে মনোমুগ্ধ করবে। সন্ধ্যার পর এই সেতু দিয়ে হেঁটে চলুন ও গঙ্গার স্নিগ্ধতা অনুভব করুন।
৬. হাত টানা রিক্সা
ব্রিটিশরা এই শহরে হাতচালিত রিকশার উত্তরাধিকার রেখে গেছে। এখনও, আপনি শুধুমাত্র কলকাতার রাস্তায় এই পরিবহনের মাধ্যমটি দেখতে পাবেন। গাড়িটি এক জোড়া হাত দিয়ে টানা হয় যা সারাদিনে কয়েকশ কিলোগ্রাম বহন করে।
এটি প্রায় ১৩০ বছর আগে কলকাতায় প্রথম চালু হয়েছিল। আজ রাস্তায় খুব বেশি হাতে টানা রিকশা নেই কারণ প্রায় সবগুলোই সাইকেলে, টোটো ও অটোতে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে একদিকে ভাল হয়েছে কারণ হাতে টানা যানগুলিতে প্রচুর শক্তি এবং শ্রমের ব্যয় হয় এবং খুব ক্লান্তিকর হয়।
কিন্তু আপনি যদি যথেষ্ট ভাগ্যবান হন এবং শহরের উত্তরাঞ্চলে থাকেন, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে এই টানা রিকশা বহনকারীরা খুব ভোরে যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে।
৭. বাংলা মিষ্টি
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে, বাঙালি মিষ্টির জন্য বিখ্যাত অনেক জায়গার মধ্যে কলকাতা অন্যতম। এখানকার মিষ্টির ভিন্ন স্বাদ, গঠন ও রঙ রয়েছে।
এই শহরে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, বিভিন্ন আকারের, এবং তার তৈরির উপাদানও ভিন্ন। বৈচিত্র্ময় মিষ্টি গুলি বিখ্যাত করে তোলে এই কলকাতা শহর কে।
পান্তুয়া থেকে শুরু করে ক্ষীরের চপ, রসমালাই ও একাধিক মিষ্টি মুখে জল আনার জন্য যথেষ্ট।
এছাড়াও আমাদের তালিকাতে রয়েছে খীর কদম, রসগোল্লা, গুরের সন্দেশ, এবং রাজভোগ। সবগুলোই তাজা ছানা, দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি। আপনি যদি শীতকালে কলকাতা আসেন, তাহলে বলব নোলেন গুরের রসগোল্লা খেয়ে দেখুন।
আপনি সন্দেশ, ছানার জিলিপি ইত্যাদিও পাবেন এখানে। নিত্য নতুন মিষ্টর সংহার নিয়ে বারংবার কলকাতা আমাদের আনন্দ দেয়। নবীন চন্দ্র দাস, বলরাম মল্লিক, ভিম চন্দ্র নাগ এর মত বিখ্যাত দোকানগুলিতে অবশ্যই ঘুরে আসুন কিছু সুস্বাদু মিষ্টির স্বাদ নিতে।
৮. ইডেন গার্ডেন
ইডেন গার্ডেন দ্বিতীয় বড় এবং প্রাচীনতম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়াম একসাথে ৬৬,০০০ জন লোককে জায়গা দিতে পারে।
কলকাতায়, এই স্টেডিয়াম বিখ্যাত ও বিভিন্ন দেশীয় ও ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ এখানে খেলা হয়ে থাকে প্রায়শই। এটিকে “ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা” বলা হয়। ইডেন গার্ডেন এর কেন এমন নাম তা এখনও অমীমাংসিত, এবং এটি সম্পর্কে মানুষের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে।
বিশ্ব কাপ, ২০-২০, ফুটবল এবং এশিয়া সহ বেশ বড় আন্তর্জাতিক ম্যাচ ইডেন গার্ডেনে জয়ের পতাকা উড়িয়েছিল।
এই ভেন্যুতে প্রথম খেলাটি ১৯৩৪ সালে খেলা হয় ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে। এই স্টেডিয়াম ইতিহাসের বুকে দীর্ঘ ছাপ ফেলে যাবে এবং এটির জন্য কলকাতা চিরকাল সবার মধ্যেই স্বরনীয় হয়ে থাকবে।
৯. স্মৃতিস্তম্ভ
কলকাতা গর্বের সাথে তার সংস্কৃতি, শিল্প, স্থাপত্য, ঐতিহ্য, সঙ্গীত, আধুনিকতা এবং ইতিহাস প্রদর্শন করে।
স্থানটি কিছু অপূর্ব স্থাপত্য, এবং বিভিন্ন যুগের স্মৃতিস্তম্ভে ভরা। প্রাসাদ থেকে যাদুঘর থেকে সেতু এবং মন্দির, শহরটির বুকে কিছু অসাধারণ উদাহরণ গড়ে উঠেছে বহু যুগ ধরে। অপূর্ব এই শৈলী চিরকাল মনে রাখার মতো।
কলকাতায় সব থেকে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। এটি একটি চমৎকার মার্বেল কাঠামো এবং চারপাশে নানা ফুলের বাগান ও সবুজ লন দিয়ে ঘেরা। রাত্রে বেলায় আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে এই স্মৃতিস্তম্ভ ও চারপাশে কিছু ফোয়ারা দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
এর পরেই রয়েছে ভারতীয় জাদুঘর। এটি ১৮১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি এশিয়ার প্রাচীনতম মিউজিয়াম। যাদুঘরটি কয়েক হাজার বছরের পুরনো জিনিসপত্র এবং নিদর্শন দিয়ে পরিপূর্ণ। বিভিন্ন ইতিহাসের সময়কাল এবং সেই সময়ে ব্যবহৃত জিনিস এবং নিদর্শন সমস্ত কিছু চিত্রিত করে।
এগুলি ছাড়াও, টেগোর হাউস, মার্বেল প্যালেস, শহীদ মিনার এবং রাইটার্স বিল্ডিং হল কলকাতার অন্যান্য স্মৃতিস্তম্ভ যা আপনি দেখতে পারেন। আপনি শহরে থাকাকালীন এই সমস্ত চিত্তাকর্ষক জায়গাগুলি দেখতে পারেন ও কলকাতার পুরনো ঐতিহ্য জানতে পারেন।
১০. ফুটবল
আরেকটি জিনিস যার জন্য কলকাতা বিখ্যাত তা হল ফুটবল। নগরীতে ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলাধুলার প্রতি পাগল মানুষ অসংখ্য। এটি ভারতীয় ফুটবল দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানে ফুটবলের প্রতি অনুরাগ লক্ষণীয়। এখানকার দুটি বড় ফুটবল ক্লাব হল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নিয়ে বাঙালির মাতামাতি আজকের নয়। রীতিমত দীর্ঘ সময়ের আড্ডা বসে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে।
প্রায় প্রতিটি মাঠেই দেখা যায় নবীনদের ফুটবল খেলতে এবং গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত কোনো আবহাওয়ায় মানেনা তারা। এমনকি এখানকার বাচ্চারাও উৎসাহ নিয়ে ফুটবলের পিছনে দৌড়ায়। কলকাতা ক্রিকেট এবং ফুটবল ক্লাব বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, দুরং কাপ, এবং সন্তোষ ট্রফি হল কলকাতায় আয়োজিত হওয়া বিখ্যাত ফুটবল লিগ। অনেক কিংবদন্তি ফুটবলার এই শহর পরিদর্শন করেছেন কারণ কলকাতাকে প্রায়শই ভারতের ফুটবল রাজধানী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এগুলি হল জিনিস যার জন্য কলকাতা বিখ্যাত। এসব অসাধারণ কারণের জন্য আপনার এই শহর পরিদর্শন করা সত্যি চিরকাল মনে থাকবে।
আপনার ভ্রমণ তালিকায় কলকাতা শহরের নাম অবশ্যই যোগ করুন। বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করুন, বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিন, এবং অন্যান্য সমস্ত জিনিস যা এই তালিকায় দেওয়া আছে তা দেখার একটি পরিকল্পনা করুন।
আশা করি এই তালিকাটি আপনাকে এখানে আপনার ভ্রমণের সময় আকর্ষণীয় জিনিসগুলি চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। দেখবেন কলকাতার এক অদ্ভুত মায়ায় জড়িয়ে পড়বেন আপনি।
এরকম আরো ভ্রমণের আর্টিকেল পড়ুন
- গড় পঞ্চকোট (পুরুলিয়া) – কোথায় থাকবেন, কি কি দেখবেন জেনে নিন
- বড়ন্তি (পুরুলিয়া) পশ্চিমবঙ্গ – রিসোর্ট, ঘুরে আসার সেরা সময়
- হাওড়া জেলার ৮টি দর্শনীয় স্থান – পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ
- অযোধ্যা পাহাড়ের কাছে ঘুরে দেখার ৭টি সেরা পর্যটন কেন্দ্র
- বেনারস শহরের ৭টি হিন্দু ধর্মীয় স্থান যেকানে আপনি ঘুরে আস্তে পারেন
- কলকাতার ৪টি বিখ্যাত হেরিটেজ ক্যাফে যেকানে আপনি ঘুরে আস্তে পারেন