Skip to content

দার্জিলিং এর কাছে ১০ সুন্দর অফবিট গন্তব্য যা অবশ্যই ঘুরে আসতে হবে

দার্জিলিংয়ের শহরটিকে পাহাড়ের রানী বলা হয় যা পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যের অতিথিদের জন্য খুব জনপ্রিয় একটি টুরিস্ট স্পট।

হিমালায়ার কোলে এটি একটি ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় জায়গা।

শুধু দার্জিলিং নয় দার্জিলিং এর পাশাপাশি অন্যান্য ভ্রমণ কেন্দ্র আছে যা অনেক ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে বহু জায়গা থেকে।

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকে শরৎকাল থেকে বসন্তকালের দিনগুলিতে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ অবধি।

এই শহরটিতে ভিড়টা একটু বেশি থাকে কিন্তু আমার মত মানুষ যারা শহরের ভিড়ভাট্টা একটু এড়িয়ে চলতে চায় কিন্তু পাহাড়-পর্বতের অসম্ভব সুন্দর আবহাওয়া, দৃশ্য ঘুরতে যেতে চায় তারা সহজেই কয়েকটি অফবিট গন্তব্যে যেতেই পারেন দার্জিলিং কাছাকাছি তাদের বন্ধুবান্ধব, প্রেমিক-প্রেমিকাদের বা পরিবার নিয়ে।

এসব জায়গায় থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি প্রকৃতির অনেক কাছাকাছি চলে এসেছেন।

এই আর্টিকেলটিতে আমি কয়েকটি সুন্দর অফ-বিট ডেস্টিনেশন বা গন্তব্যের তালিকা রেখেছি দার্জিলিং এর কাছাকাছি যেখানে আপনি ভিড়ভাট্টা ও পাবেন না এবং পাহাড়েও ঘুরে আসতে পারবেন।

জায়গা গুলি হল,

  1. তাকদাহ
  2. তিনচুলে
  3. লামাহাট্টা
  4. লেপচা জগৎ
  5. রিশপ
  6. লাভা-লোলেগাঁও
  7. মিরিক
  8. চটকপুর
  9. সিটং
  10. ছোট এবং বড় মাংওয়া

চলুন তাহলে এগুলো প্রত্যেকটি জায়গা সম্মন্দে দেখিনি বিস্তারিতভাবে…

১. তাকদাহ

তাকদাহ একটি ছোট্ট গ্রাম দার্জিলিং এর কাছাকাছি এবং আদর্শ জায়গা পশ্চিমবঙ্গের অফবিট গন্তব্য হিসেবে এও বলা হয়।

যদি আপনি দার্জিলিং এর মত বেশি জনবসতির হিল স্টেশন এড়িয়ে চলতে চান এবং শান্ত ও স্তব্ধ জায়গায় ছুটি কাটাতে চান তাহলে টাকদাহ অবশ্যই ঘুরে আসবেন।

এখানে আপনি ব্রিটিশ সময়ে তৈরি বাংলোতে থাকতে পারবেন যার ১৯০০ সালে বানানো হয়েছিল আপনি এখানে মনের আনন্দে ছুটি কাটাতে পারবেন।

এই জায়গাটি মাঝেমধ্যেই মেঘে ঢাকা থাকে এবং জায়গাটির মায়া আরও বাড়িয়ে দেয়। তাকদাহ তে গেলে আপনি আরো কিছু জায়গা ঘুরে আসতে পারেন যেমন টাকদা মনাস্ট্রি এবং টাগদা অর্কিড সেন্টার।

এছাড়াও তাকদাহর চা বাগান দেখতে পারবেন যেমন রং রঙ্গলিঅট্ টি এস্টেট এবং তিস্তা ভ্যালি টি এস্টেট।

২. তিনচুলে

তিনচুলে একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম দার্জিলিং থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে আছে আর টাকদাহ্ থেকে অল্প কিছু দূরত্বে আছে।

তিনচুলে নামটি এসচে তিন কথা থেকে এবং চুলে মানে ওভেন থেকে এসেছে এই জায়গাটি ক্ষেত্রে বলা হয় কারণ তিন পাহাড়ের মাথা এই জায়গাটি কে ঘিরে আছে আর এই পর্বতের মাথাগুলো চুলা ওভেন এর মত দেখতে লাগে ।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফেডারেশন তিনচুলে স্থানীয় লোকদের সাথে কাজ করছে যাতে পরে এই তিঞ্চুলে গ্রামটি একটি মডেল কলেজ গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত হয়।

তিঞ্চুলে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ জায়গা এবং এইখান থেকে হিমালয় পর্বতমালা তথা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখার ও সুযোগ পাবেন।

তিঞ্চুলের বহু হমস্টে থেকে কাঞ্চনঙ্ঘার বরফাবৃত চূড়ার ভিউ পয়েন্ট থেকে দেখা যায়। শুধু তাই নয় তিঞ্চুলের গুম্বাদারা ভিউ পয়েন্ট থেকেও এই পর্বতমালা দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

৩. লামাহাট্টা

লামাহাট্টা একটি ছোট ইকোপার্ক এবং একটি ছোট্ট গ্রাম দার্জিলিং থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে যার বিশেষত্ব হলো অসাধারণ প্রকৃতি এবং ঘন পাইন এবং ধূপি গাছের জঙ্গল একটি অফবিট জায়গা হিসেবে পরিচিত।

দার্জিলিং এর কাছাকাছি সবথেকে বিখ্যাত স্পট এই লামাহাট্টা ইকো ট্যুরিজম পার্ক এবং সব থেকে সুন্দর জায়গা লামাহাট্টা ও তাই বহু দূর থেকে ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে।

এই জায়গাটি তিনচুলে এবং তাকদাহ থেকে অনেক কাছাকাছি অবস্থিত।

রাজ্য সরকার এবং বনদপ্তর বিভাগের রক্ষাকর্তাদের সাহায্য নিয়ে স্থানীয় মানুষেরা এই জায়গাটিকে একটি সুন্দর ইকো ট্যুরিজম স্পট গড়ে তুলেছেন। এর ফলে কয়েকটি খুব সুন্দর হোম সস্টে ও গড়ে উঠেছে যেখানে আপনি প্রকৃতির অনেক কাছাকাছি থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

৪. লেপচা জগৎ

Sunrise at Lepchajagat

লেপচাজগৎ এ সূর্যোদয় একটি সর্গীয় দৃশ্য। এটি আরেকটি অফবিট গন্তব্য যা দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূর অবস্থিত।

আপনি দার্জিলিং থেকে লেপচাজগৎ যেতে পারেন ঘুম স্টেশন হয়ে।

এই জায়গাটি সম্প্রতি খুব জনপ্রিয়তা গ্রহণ করেছে ভ্রমণকারীদের মাঝে কারণ এখানে হোমস স্টের ব্যবস্থা দাম , আবহাওয়া এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব।

এখানকার প্রধান আকর্ষণীয় দৃশ্য হলো সূর্যোদয় রাত্রিবেলায় আপনি এই জায়গা থেকে সম্পূর্ণ দার্জিলিংয়ের আলোক মন্ডিত রূপ দেখতে পাবেন।

৫. রিশপ

Antarleen, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons

রিশপ একটি ছোট গ্রাম্য পাহাড়ি গ্রাম পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলা তে অবস্থিত। রিশ্যপ এর মধ্যে আছে রি যার অর্থ “পাহাড়ের চূড়া” এবং “শ্যপ” যার অর্থ পুরাতন এবং লম্বা গাছ তিব্বতি ভাষায়।

রিশ্যপ পাহাড়ের উচ্চতা মোটামুটি দু কিলোমিটার। রিশ্যপ পাহাড় বেয়ে ছোট ছোট নদী বয়ে চলে যাই এবং সবুজ পাহাড় দিয়ে ঘেরা।

রিশ্যপ পর্বতমালার পাহাড়ি দৃশ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং সম্পূর্ণ ভারত থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবে মানুষদের টেনে আনে। এই গ্রামটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে আছে।

এখানকার শেরপারা ছোট ছোট হোম বানিয়েছেন যাতে অতিথিরা শান্তিপূর্ণভাবে এখানে থেকে পাহাড়ের দৃশ্য অনুভব করতে পারেন।

এখানে অন্যান্য হোটেল আছে তবে হোমস্টের ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম। এখানকার মেঘলা আবহাওয়া ট্রেকিং এর জন্য আদর্শ। পশ্চিমবাংলায় এই স্থান এক প্রকার স্বর্গ।

৬. লাভা লোলেগাঁও

Credits: WB Tourism

নর্থ বেঙ্গল এর আরেকটি সেরা পাহাড়ী জায়গা হচ্ছে লাভা লোলেগাঁও।

এই স্থানে যেতে গেলে আপনাকে নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন অথবা প্রাইভেট গাড়িতে করে যেতে পারেন। আপনি একটি ট্যাক্সি ও নিতে পারে লাভা লোলেগাঁও পৌঁছানোর জন্য।

আপনি যদি লাভা লোলেগাঁও জান তাহলে ঝান্ডি ধারা ভিউ পয়েন্ট একদম মিস করবেন না। এখান থেকে আপনি সূর্যোদয় দেখতে পাবেন তুলোর ন্যায় মেঘের মাঝে।

শুধু তাই নয় এখান থেকে ভ্রমণকারীরা হিমালয় পর্বতমালার সোনালী চূড়া দেখে দিন কাটিয়ে দেন।

লাভা লোলেগাঁও ভ্রমণ করার আদর্শ সময় হল মে থেকে অক্টোবর অবধি। আপনি এইখানে গেলে চারিদিকে সবুজ ঘেরা সতস্ফুর্ততা অনুভব করবেন যখন আপনি ১৮০ কিলোমিটার লম্বা কাঠের সেতু দিয়ে বড় বড় গাছের মাঝখান দিয়ে হেটে যাবেন।

লাভা, লোলেগাঁও থেকে ২৪ কিলোমিটার দূর। আপনি লাভা থেকে লোলেগাঁও পৌঁছাতে গেলে একটি গাড়ি করে নিতে পারেন যার ভাড়া পড়বে ১৫০০ টাকার মতো।

এছাড়াও আপনি অন্যান্য সুন্দর জায়গা যেতে পারেন যেমন গরুমারা ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশন নেওড়া ভ্যালি। আপনি সত্যি এই জায়গা গুলির প্রেমে পরে যাবেন।

৭. মিরিক

Shubh.ch1994, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons

মিরিক কে বলা হয় দার্জিলিংয়ের প্রবেশদ্বার যেখানে অসাধারণ সুন্দর শ্যামল পাহাড় ঘিরে আছে। মিরিকের চারপাশে আছে মিরিক লেক , মিরিক টি এস্টেট এবং কমলা লেবুর বাগান।

অনেক ভ্রমণকারী মিরিক লেক ভ্রমণ করে বোটিং এর জন্য যার ভাড়া ২০০ টাকা প্রতি ৩০ মিনিট মাথাপিছু।

মিরিক লেক এর স্বর্গীয় অনুভূতি এবং পাইন গাছ শহরটির অনেক মানুষকে জড়িয়ে রাখে। মিরিক বাগানটি ও বেশ ভালো সাজানো এবং ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সে বাগানে ঢুকতে কোন এন্ট্রি ফি লাগে না।

এইখানে অনেক হোটেল আছে যা বাঙালি খাবার পরিবেশন করেন। এছাড়াও অনেক হোমস্টে আছে মিরিকে যেখানে আপনি ২-৩ দিন স্বাছন্দে কাটিয়ে দেবেন।

মিরিকের কাছাকাছি আছে গোপালধারা টি এস্টেট যেখান থেকে দার্জিলিং এর সেরা চা রপ্তানি করা হয়। পশুপতি মার্কেট শপিং এর জন্য একটি ভীষণ ভালো স্থান।

এছাড়াও আরো সুন্দর জায়গা রয়েছে যেমন সীমানা ভিউ পয়েন্ট এবং অরেঞ্জ অর্চাড্স।

৮. চটকপুর

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে আছে আরেকটি পরিবেশ প্রিয় পাহাড়ি গ্রাম চটক। বড় বড় উঁচু পাহাড়ের উপরে আছে এই গ্রামটি যার উচ্চতা হবে ৭৪০০ ফিট।

ওইখানে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে অথরিটি থেকে একটি পাস বানিয়ে নিতে হবে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সরু পথ বেয়ে চলে যাচ্ছে চটকপুর গ্রাম অবধি।

ব্যালকনিতে বসে আপনি হোমস্টে থেকে দেখতে পাবেন অপূর্ব সুন্দর মেঘে ঢাকা পর্বত এবং বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া।

একটি মায়া ও স্তব্ধতা গ্রাম কে ঘিরে আছে সর্বদা।

বন্য কুসুম প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। টিকলস লিফ ওয়ার্বলের এবং সাইবেরিয়ান স্টোনচ্যাট এখানকার কিছু পাখির প্রজাতি যা ছবি প্রেমীরা অবশ্যই ক্যামেরাবন্দী করবেন।

চটকপুরে একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে যা গ্রামের বাইরের দৃশ্য এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখতে সুবিধা করে দেয়। স্থানীয়রা একটি কালিপাখ্রি নামে ঐশ্বরিক পুকুরকে আরাধনা করেন।

৯. সিটং

সিটং আরেকটি ছোট পাহাড়ি জায়গা কার্শিয়াং এর কাছাকাছি ৪ হাজার হাজার ফুট উচ্চতায় আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে। ইউক্যালিপটাস গাছের এবং জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সূর্যের রশ্মি নিজের পথ খুঁজে নিয়েছে।

এই জায়গাটি আম চাষ করার জন্য আদর্শ। পাথরের গায়ে সচ্ছ ও সাদা ঝরনা কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে যা দেখলে মনে হবে আপনি একটি স্বর্গে এসে পৌঁছেছেন।

এছাড়াও আছে ছোট ছোট কাঠের তৈরি ঘর পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে।

এই জায়গায় আছে অনেক হোমস্টে যেখানে আপনাকে খুব আদর যত্ন সহকারে স্থানীয়রা স্বাগত জানাবে এবং সবথেকে ভালো খাবার পরিবেশন করবে।

ফড়িং ডাকলেই বুঝে নেবেন রাত্রি আসন্ন। উজ্জ্বল বন্য ফুল দেখতে অভাবনীয়। তাছাড়া এখানে আছে নামথাং লেক যা ভ্রমণপিপাসুদের খুব ভালো লাগবে।

১০. বড়ো এবং ছোটো মাংওয়া

বড়ো মাংওয়া এবং ছোটো মাংওয়া দুই ই দার্জিলিং এর কাছাকছি অফবিট ডেস্টিনেশন। ছোটো মাংওয়া এবং বড় মাংওয়ার মাঝে দূরত্ব ৮ কিলোমিটের।

বড় মাংওয়া তে সোনালী গম ধরে থাকে নভেম্বর মাসে যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। বড় মাংওয়া তে অনেক বাগান ও ফার্ম হাউস আছে। সূর্যের আভা তে চারিদিক আলোকিত হয়ে থাকে।

ছোট মাংওয়া তে আছে কমলা লেবুর বাগান সারি সারি। ছোট মাংওয়া ইকো তুরসিম কমপ্লেক্স এই স্থানে সব থেকে ভালো খাবার এর এবং থাকার ব্যবস্থা করে।

এই খানে আবহাওয়া মনোরম এবং পাখির আওয়াজে সকালে ঘুম ভাঙে। ছোট মাংওয়া মনাস্ট্রি সব থেকে পবিত্র স্থান এই অঞ্চলে।

উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় আপনি এই সমস্ত অফবিট জায়গাগুলিতে ঘুরে আসতে পারেন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে বা পরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে।

হিমালয়ের কোলে এত সুন্দর স্থান সত্যি শারীরিক এবং মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কে দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম।

যদি এইসব জায়গায় কখনো জান তাহলে সঙ্গে করে অবশ্যই ক্যামেরা নিয়ে বেরোবেন কারন এই সব অভূতপূর্ব দৃশ্য ফ্রেমবন্দি করতে কখনো ভুলবেন না।

অ্যালবাম বা ফেসবুক ফীড এ বছর বছর স্মৃতি হিসেবে ঘুরে আসুক এই মিষ্টি যাত্রাগুলি।


পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কিছু ওয়েব স্টোরি (Web Stories):


এরকম আরো ভ্রমণের আর্টিকেল পড়ুন