Skip to content

পশ্চিমবঙ্গের ৯টি সেরা অফবিট ডেস্টিনেশন ২০২৩

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা প্রকৃতি এবং আমাদের মধ্যে ব্যবধানকে প্রশস্ত করেছে। শুধু তাই নয় আমাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরো ভালো করে তোলার জন্য আমাদের কাছে সময় থাকেনা।

সপ্তাহান্তে আমরা চলমান রুটিন থেকে কিছুটা ফিরে যাই এবং সম্পূর্ণ বিশ্রামের মধ্য দিয়ে যায় শরীর, ও মন। মানসিক শান্তি কে পুনরায় ফিরে পেতে বিশ্রামের মধ্যে দিয়েই কাটাই।

তবে মেজাজ ফুরফুরে হওয়ার অনেক উপায় আছে, তবে সপ্তাহান্তে কোনো বিশেষ জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা হলে কেমন লাগবে? সপ্তাহান্তের ছুটি যদি একটু মজাদার হয় তাহলে বেশ জমে যায়, তাইনা বলুন?

কিন্তু তারজন্যে আপনাকে অবশ্যই বিছানা ছেড়ে নেমে পড়তে হবে এবং আপনার মনকে সতেজ করার জন্য বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে ১-২ দিনের জন্য একটি ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এই আর্টিকেলটিতে, সারা বাংলা জুড়ে কয়েকটি অফবিট গন্তব্য দেওয়া রইলো যা একটি নিখুঁত এবং আনন্দময় দিন কাটানোর জন্য সেরা,

  1. ঝিলিমিলি- রিমিল
  2. গঙ্গনি-গড়বেতা
  3. ক্ষীরাই
  4. ইটাচুনা রাজবাড়ী
  5. বামনি জলপ্রপাত
  6. লেপচাজগত
  7. তাকদাহ
  8. চটকপুর গ্রাম
  9. ডোবাং – কান্নান উপত্যকা

তাহলে চলুন এই জায়গাগুলি সম্মন্দে বিস্তারিত ভাবে দেখে নেওয়া যাক।

১. ঝিলিমিলি- রিমিল

Jhilimili (Credits: bankura.gov.in)

বাঁকুড়া জেলার রাস্তাগুলো লম্বা সবুজ গাছপালা আর জঙ্গলে ছায়াময় হয়ে থাকে। ঝিলিমিলি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার অফ বিট ডেস্টিনেশনের মধ্যে একটি।

স্পটটি কলকাতা থেকে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটিতে পৌঁছাতে আপনাকে খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ির মতো স্টেশন ও ঘন আমডুবি জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হবে।

ঝিলিমিলি বন দেখার সেরা সময় হল বসন্তকালে। এই সময় সিঁদুরের রঙে পলাশ ফুলে প্লাবিত কালো দীর্ঘ রাস্তা এবং বসন্তের প্রাণবন্ত সূর্যালোক গাছের ভিতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে, এমন দৃশ্য আপনার চোখে পড়বে।

জঙ্গলের মধ্যে রিমিল লজটি তার সুন্দর কটেজ এবং নজরকাড়া ট্রি হাউস গুলির জন্য বিখ্যাত। এই সুন্দর ট্রি হাউস গুলিতে থাকলে আপনি জঙ্গলের মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি পাবেন।

রিমিল কটেজে থাকার খরচ প্রায় ₹ ১৫০০-৩০০০ এবং খাবারের জন্য আলাদা চার্জ লাগে।

২. গঙ্গনি-গড়বেতা

গঙ্গনি (Credits: Smeet Chowdhury | License: CC)

আপনি আপনার ভূগোল পাঠ্য বইয়ে ক্যানিয়ন নামক ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শুনেছেন। কিন্তু কখনও বাংলায় এমনি একটি গিরিখাতের কথা শুনেছেন?

হ্যাঁ, গঙ্গনি বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নামে পরিচিত। এটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সেরা দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি।

আপনি হাওড়া থেকে সাঁতরাগাছি এবং খড়গপুর হয়ে গড়বেতা যেতে পারেন। গড়বেতা স্টেশন থেকে একটি টোটো নিয়ে হুমগড়-গড়বেতা রুটের দিকে যেতে হবে এই জায়গায় পৌঁছাতে।

পথে যেতেই আপনারা একটি অস্বাভাবিক জায়গা দেখতে পাবেন, আমলাঘোরা বন পরিসর, যেখানে হাতিরা জল খেতে আসে। আপনি নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবান বলে মনে করতে পারেন যদি আপনি এদের হূমগড়-গড়বেতা রুটের রাস্তা পার হতে দেখেন।

জায়গাটি প্রায় পরিত্যক্ত এবং এলাকাটি সাতভিলা ও কুর্চিডাঙ্গা গ্রামের উপকণ্ঠে। আপনি এই জায়গা থেকে হাতির গর্জন শুনতে পাবেন।

চারিদিকে শীতল বাতাস বইছে এবং চারিপাশে সেগুন, শাল, আকাশবনি ও মহুয়া গাছে ভরা বন। কাজুবাদামের বনভূমির মধ্যে ভ্রমণ করে আপনি যে গন্তব্যে পৌঁছাবেন তা হল শিলাবতী নদীর তীরে অবস্থিত গঙ্গনি।

গঙ্গনি বা বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন তৈরি হয়েছে গভীর উপত্যকা কাটা ও শিলাবতী নদীর ভাঙনের ফলে। পাথরগুলো লাল ফেরিক বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। আপনি ৫০০ এর মধ্যে একদিনে এই জায়গাটি পরিদর্শন করতে পারেন।

৩. ক্ষীরাই

Khirai Flower Garden (Credits: Arijit Sarkar)

ফুল ঈশ্বরের সবচেয়ে বিস্ময়কর সৃষ্টি। একটি গবেষণা অনুসারে, ফুল সমস্ত প্রাণীর মধ্যে সুখ, শান্তি সম্প্রীতি ছড়িয়ে দেয়। পশ্চিমকাল্লো এবং দোকান্দা গ্রামের কাছে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরাই এর অসাধারণ ফুলের উপত্যকা এমনই একটি জায়গা।

আপনার ওয়ালেটে ৫০০ টাকা থাকলে আপনি এই জায়গাটিতে সহজেই ঘুরে আস্তে পারেন।

কাঁশাই এবং কংসাবতী নদীর সীমান্তবর্তী জমিতে বেশ কিছু প্রাণবন্ত রঙিন এবং আশ্চর্যজনক ফুল চাষ করা হয়।

আপনি হাওড়া স্টেশন থেকে খড়্গপুর লোকাল ট্রেনে ২ ঘন্টার মধ্যে ক্ষীরাই পৌঁছাতে পারেন এবং স্টেশনে পৌঁছানোর পরে আপনাকে পাঁশকুড়ার দিকে রেল রাস্তার পাশের সরু লেন দিয়ে এগিয়ে আস্তে হবে।

খীরাই ও পাঁশকুড়ার সংলগ্ন এলাকার ফুলের ক্ষেতের রঙের মিশ্রন আকর্ষনীয় দেখায়। সেখানে শুধু ফুল নয়, চাষের জমিও রয়েছে। গাঁদা, গম উইলিয়াম, লাল গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকিয়ায় ভরা একাধিক বাগান ও চাষ জমি রয়েছে। ফুলের অধিক ফলনের জন্য শ্রমিকরা পরিশ্রম করে। 

এখানকার ফটো ক্লিক করার আগে বা ফুলের উপত্যকা দেখার আগে আপনাকে সমস্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।

৪. ইটাচুনা রাজবাড়ী

ইটাচুনা রাজবাড়ী (Kinjal bose 78, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons)

ইটাচুনা রাজবাড়ী পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম অফ বিট গন্তব্য। হাওড়া থেকে বর্ধমান লোকাল ট্রেনে চড়ে আপনি ব্যান্ডেল থেকে ৩টি স্টেশন দূরে খান্দানে নামতে পারেন। 

গেট থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ইটাচুনা রাজবাড়ি পৌঁছতে একটি টোটো নিতে পারেন। 

রাজবাড়ি, স্তম্ভগুলি লাল রঙের এবং তার উপর সাদা সাজসজ্জা করা রয়েছে। নাটমহলে যাওয়ার পথটি প্রাসাদের প্রবেশপথ চিহ্নিত করে।

এই রাজবাড়ীর অন্দরমহলে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে যার অগ্রিম বুকিং করতে হয়। এখানে চেক ইন সময় দুপুর ১২ টা এবং চেক আউটের সময় সকাল ১০ টা। ঢোকার সময় আবাসিক কর্মীরা আপনাকে স্বাগত জানাবে।

রাজবাড়ীতে প্রায় ৬০টি ঘর পরিত্যক্ত। এই রাজবাড়ীর সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক অংশ হল যে অতিথি কক্ষটির নাম বড়মা, মেজোমা, বড় পিসি ইত্যাদি।

এটি একটি বিখ্যাত শ্যুটিং লোকেশন এবং এখানে রাজমহল এবং লুটেরার মতো অনেক চলচ্চিত্রের শুটিং করা হয়েছে। বৈঠক খানা নামে পরিচিত একটি বসার ঘর আছে যেখানে স্বাধীনতার আগের ছবি দেয়ালে টাঙানো আছে।

এই রাজবাড়ীর কাছাকাছি একটি ইটের কারখানা ছিল এবং স্থানীয় লোকেরা সেখানে চুনাপাথরের খোল পিষে ঘর তৈরি করত। আর ফলে এই জায়গাটির ইটাচুনা নামকরণ করা হয়েছে।

প্রাসাদের অপূর্ব সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।

৫. বামনি জলপ্রপাত

বামনি জলপ্রপাত (Paulsubhajit, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons)

পুরুলিয়ায় অবস্থিত বামনি জলপ্রপাতটি পাথুরে পাহাড় এবং উপত্যকা কেটে বয়ে চলে। তাই এই জলপ্রপাত একটি দর্শনীয় দৃশ্য।

আপনি হাওড়া থেকে ট্রেন বা বাসে অযোধ্যা পাহাড়, ও বামনি জলপ্রপাত পৌঁছাতে পারেন। জলপ্রপাত দেখতে আপনাকে সরু সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠতে হবে। জলপ্রপাতের একটি ভাগ ৩৫০ টি সিঁড়ির স্তরে অবস্থিত এবং অন্যটি ৭৫০ তম সিঁড়ির স্তরে অবস্থিত।

সরু সিঁড়ির দুপাশে সবুজ ঝোপঝাড় আর গাছপালা দিয়ে ঘেরা। এই ধরনের সরু ধাপে পা ফেলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আপনি যে জুতো পরবেন এবং যে পদক্ষেপগুলি রাখবেন সে সম্পর্কে আপনার সর্বদা সতর্ক হওয়া উচিত।

তবে ট্রিপটি নিশ্চিত দুঃসাহসিক হবে এবং আপনি এই জায়গাটি ঘুরে আস্তে পছন্দ করবেন। জলপ্রপাতের জলের গর্জন বহুবর্ষ ধরে সেইখানে এক নিদারুণ প্রভাব ফেলে আসছে।

৬. লেপচাজগত

লেপচাজগত

দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লেপচাজগত পশ্চিমবঙ্গের আরেকটি অফবিট লোকেশন। আপনি সেখানে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মিরিক এবং সুকিয়াপোখরি হয়ে শেয়ার ক্যাবে পৌঁছাতে পারেন।

আপনি যদি দার্জিলিং এর ভিড় এড়াতে চান তবে আপনি কিছু সুন্দর মুহূর্ত ও দৃশ্য উপভোগ করার জন্য ২ দিন লেপচাজগতে থাকতে পারেন। এই জায়গা থেকে আবার আপনি দার্জিলিং ঘুরে আসতে পারেন।

লেপচাজগতের প্রধান আকর্ষণ হল সূর্যোদয়। আপনি রাতের সময় দার্জিলিং এর আলোকিত শহরও দেখতে পারেন। স্থানটি সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

চমৎকার হোমস্টে, পাইন ও রডোডেনড্রন এর সৌন্দর্য, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া, এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্যের জন্য এই জায়গায় অনেকেরই প্রিয়।

এখানকার কিছু হোমস্টে হল পাখরিন, কাঞ্চনকন্যা, ও গ্রিন ভ্যালি হোমস্টে।

৭. তাকদাহ

তাকদাহ (Arijit1604, CC BY-SA 4.0, via Wikimedia Commons)

উত্তরবঙ্গে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম তাকদাহ যা একটি বিশেষ অফবিট স্থান হিসাবে পরিচিত।

টাকদাহ পৌঁছাতে আপনি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একটি ক্যাব নিতে পারেন। আপনার ক্যাবে প্রায় ₹৩০০০ খরচ হবে। শেয়ার ক্যাব হলে এই দাম অনেক টাই কম পড়বে।

টাকদার দিকে যাওয়ার সময় আপনি প্রবাহিত তিস্তা নদীর দৃশ্য দেখতে পাবেন। সবুজ উপত্যকা, চা বাগান, আঁকাবাঁকা রাস্তা এবং ছোট স্রোত কিছু আশ্চর্যজনক দৃশ্য যা আপনার ভ্রমণের সময় চোখে পড়বে।

তাকদায় কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে যেগুলো থাকার জন্য উপযুক্ত। আপনি এক কাপ চা এবং পাহাড়ের ঐশ্বরিক দৃশ্যের মাধ্যমে একটি নিখুঁত আরামদায়ক দিন শুরু করতে পারবেন। এখানের বুনো পাহাড়ি ফুল আর ভাসমান মেঘ সবার মন মেজাজকে আরো ভালো করে দেয়।

কাছাকাছি গুম্বাধারা ভিউপয়েন্ট আপনাকে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখার সুযোগ করে দেবে।

তাকদাহ থেকে পাহাড়ের দৃশ্য এবং সৌন্দর্য আপনাকে অবশ্যই মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলবে।

৮. চটকপুর গ্রাম

উত্তরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দ্বারা ঘেরা সবুজ বর্ণিল উপত্যকার চটকপুর গ্রাম একটি ইকো ভিলেজ। পাহাড়ি গ্রামটি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলার সেরা অফ বিট স্থানগুলির মধ্যে একটি।

অনেকেই এই স্থানে যান এবং রডোডেনড্রন বাগান পরিদর্শন করেন। গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খুব কম সংগঠিত রঙিন কাঠের তৈরি ঘর রয়েছে, যেখানে আপনি থাকতে পারেন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

চটকপুর প্রায় ৭৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই এলাকায় মানুষের বসতি খুবই কম। চটকপুর শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে।

এই স্থানে দুই দিনের ছুটি কাটানোর সেরা সময় হল বর্ষা ছাড়া যেকোনো সময়, কারণ বর্ষার সময় রাস্তাগুলি ভিজে যাই ও পিচ্ছিল হয়ে যায় এবং পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

এখানে অবশ্যই ক্যামেরা সাথে সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন যাতে আপনি সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময় কামচেনজঙ্ঘার চূড়ার মানসম্পন্ন ছবি এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্যান্য ছবি পেতে পারেন।

৯. ডোবাং – কান্নান উপত্যকা

ডোবাং – কান্নান উপত্যকা

নিউ জলপাইগুড়ির কাছে ডোবাং এবং কান্নান উপত্যকা নামে পরিচিত পাহাড় বিশিষ্ট একটি অফ বিট গন্তব্য রয়েছে। আপনি এক থেকে তিন দিনের জন্য এই অফবিট অবস্থানে যেতে পারেন এবং সেখানে সময় কাটাতে পারেন।

এটি একটি খুব শান্ত এবং নির্মল জায়গা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে গ্যাংটকের শেয়ার গাড়ি নিয়ে রংপো পর্যন্ত যাত্রা করুন। এবং আবার রংপো থেকে রোরাথাং পাস পর্যন্ত একটি গাড়ি নিন যাতে আপনি এই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।

হোমস্টের কর্মীরা রামগপো-রোরাথাং সড়কের সেতুর কাছে পিকআপের জন্য গাড়ি পাঠাতে পারে যদি আগে থেকে জানানো হয়।

পাথুরে রাস্তা, বিভিন্ন পাহাড়ি গাছ এবং ঝোপ দ্বারা সারিবদ্ধ এই স্থান। সংলগ্ন এলাকাগুলো এতই শান্ত যে পাখিদের আওয়াজ এবং ফড়িংদের মতো কীটপতঙ্গের শব্দও স্পষ্ট শোনা যায়।

উপত্যকায় শুধুমাত্র ১টি হোমস্টে রয়েছে যার নাম কান্নান ভ্যালি হোমস্টে, এছাড়াও কয়েকটি কাঠের কটেজ রয়েছে এবং হেঁটে আপনি ঋষি নদীর উপর একটি ছোট কাঠের সেতু দিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারেন। ঋষি নদীর স্বচ্ছ নীল জল দেখতে অপূর্ব লাগে।

যেহেতু জায়গাটি অনেকের কাছে পরিচিত নয় তাই স্থানটি একক ভ্রমণ বা দম্পতিদের সময় কাটানোর জন্য আদর্শ।

এগুলি পশ্চিমবঙ্গের কিছু নামকরা অফবিট গন্তব্য।

এই স্থানগুলি পরিদর্শন করা শুধুমাত্র আপনার আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করবে না বরং স্মৃতিপটে কিছু সুন্দর সময় এঁকে দেবে। এগুলি ১-২ দিনের ছোট ভ্রমণের জন্য বেশ সাশ্রয়ী।

পশ্চিমবঙ্গের এই আশ্চর্যজনক অফবিট গন্তব্যস্থলগুলিতে আপনার ছুটির দিনে বা সপ্তাহান্তে সময় কাটানোর সুযোগটি একদম মিস করবেন না।


এরকম আরো ভ্রমণের আর্টিকেল পড়ুন